ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ , ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সরকার সংস্কার কমিশন করলেও নদীর ক্ষেত্রে প্রতিফলন নেই-আনু মুহাম্মদ বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহত ১ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল খরচেও কমানো যাচ্ছে না নানামুখী আতঙ্ক রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা সেই শিশু আছিয়া না ফেরার দেশে ধর্ষণে আতঙ্ক -উদ্বেগ ভারতকে অযাচিত বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে বলল ঢাকা প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাচ্ছেন ২৬ মার্চ সালমান এফ রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা খরায় পুড়ছে চা-বাগান উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা ইফতারিতে দই-চিড়ার জাদু একরাতে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা এলাকায় আতঙ্ক স্বাভাবিক নিত্যপণ্যের বাজার, সংকট সয়াবিনে মামলা থেকে স্বামীর নাম বাদ দেয়ার কথা বলে স্ত্রীকে ধর্ষণ ছেঁউড়িয়ায় শুরু লালন স্মরণোৎসব দোহাজারীতে বাসচাপায় ৩ জন নিহত হেনস্তার পর ছাত্রীকে ফেলে দিলো দুর্বৃত্তরা ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ভ্যাট দেয় না বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরনের কাপড় টিভি ফ্রিজ খাট টাকা সব পুড়ে শেষ বস্তিতে আগুন

সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন, দুঃসময়ে সেনাবাহিনীই আমাদের শক্তি-মির্জা ফখরুল

  • আপলোড সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০৪:৩২:৪৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০৪:৩২:৪৭ অপরাহ্ন
সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন, দুঃসময়ে সেনাবাহিনীই আমাদের শক্তি-মির্জা ফখরুল
দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের শক্তি। সবসময় দেখেছি, জাতির দুঃসময়ে তারা এগিয়ে আসে। জাতীয়তাবাদী আদর্শের সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাই ধৈর্য ধরবেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। দেশের সব মানুষকে আহ্বান জানাই, কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে, তর্ক-বিতর্ক বন্ধ করে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। জাতির ঐক্যবদ্ধ থাকার মধ্য দিয়ে আমরা একটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারি। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে যখন পুরো জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন আক্রমণ করেছে, গণহত্যা চালাচ্ছে, তখন সেনাবাহিনীর একজন অখ্যাত মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করে পুরো জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক বাহিনীর ভূমিকা পালন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে পিলখানায় শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে শক্ত হাতে সরকার পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের প্রতি এই আহ্বান জানাতে চাই, আপনি শক্ত হাতে আপনার সরকার পরিচালনা করুন। কেউ যেন এই কথা না বলে, আপনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। আমি এই কথা শুনতে চাই না। কারণ, আপনি অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত ও বিখ্যাত মানুষ। সারাবিশ্বে আপনার নাম আছে। আপনি সেটার মর্যাদা রাখবেন আমরা তা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, আমরা আশা করবো, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে যত দ্রুত সম্ভব, সংস্কার যেটা ন্যূনতম প্রয়োজন সেটা সম্পন্ন করে নির্বাচনের এগিয়ে যান। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে স্থিতিশীলতা, শান্তি এবং ভবিষ্যতের জন্য সমৃদ্ধি আনবেন, এটা আপনার কাছে আমরা প্রত্যাশা করি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেকে বিএনপির সমালোচনা করে বলার চেষ্টা করছে আমরা নাকি শুধু নির্বাচন নির্বাচন করছি। আমরা নাকি সংস্কার চাই না। এত বড় মিথ্যা কথা, মিথ্যা প্রচারণা তারা চালাচ্ছে বিভিন্নভাবে। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েকজন মানুষ, গুটিকতক মানুষ বিএনপিকে টার্গেট করেছে। তারা অপপ্রচারণা করে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়। বিএনপি হচ্ছে সেই দল যারা অতীতে এদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে, এখনো করবে ইনশাআল্লাহ্। মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে পটপরিবর্তন হয়েছে, দেশকে নতুন করে গড়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সেটিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকে তিনি চক্রান্ত করছেন কী করে বিজয়ের সব ফলাফল নস্যাৎ করে দেওয়া যায়। কীভাবে আবার নৈরাজ্য, অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করা যায়। এরই প্রেক্ষাপটে আজকে দেখছি, বিভিন্ন পক্ষ থেকে একটি অস্থির অবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই সরকার অন্তর্বর্তী সরকার। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আসা একটি সরকার। প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার গঠন হয়েছে। আমরা বারবার করে বলছি, দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না হলে কোনোমতেই স্থিতিশীলতা আসবে না। সেজন্য প্রথম থেকেই বলছি, প্রকৃতপক্ষে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করছি দীর্ঘ দিন ধরে। আজকে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে একটি নৈরাজ্যের দিকে দেশকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু সংখ্যক মানুষ অন্যায়ভাবে দেশকে, দেশের মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তোলার চেষ্টা করছে। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। যা কোনোভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং দেশের স্থিতিশীলতার জন্য শুভ নয়। আলোচনা সভায় তৎকালীন র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শামসুজ্জামান খান, তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল প্রয়াত শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাৎ ও যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স